মোরশেদ হোসাইন তানিম :
চলছে সহযোগিতার নাম দিয়ে ফেইসবুকে লাইভ অার সেলফির ঝড়। অন্যদিকে রোহিঙ্গার উপর হামলা কেন বাংলাদেশ সরকার অার প্রশাসন জবাব চাই- বলে কক্সবাজার জেলা বি এন পির দলীয় কার্যালয়ে তাদের নেতাদের ষড়যন্ত্রের দাবাখেলা। অারেক দিকে দেখি বিদেশীদের সাহ্যয্যের নামে চোখের জল ফেলানোর ভালবাসা এর মধ্যে কক্সবাজারবাসী যাবে কোথায় অামাদের দোষ কি?
অামি বলি –
রোহিঙ্গা মুসলিম ওরাও অামাদের মতো রক্ত মাংসে গড়া
মানুষ।তবে তাদের উপর এতো অত্যাচার নির্য়াতন কেন? সেই প্রশ্ন অামাদেরও তবে তাই বলে অামাদের এই হত দরিদ্র দেশে এতো রোহিঙ্গাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সীমারেখায় এতো গুলো রোহিঙ্গা এখন অবস্থান করছেন।খাওয়ালাম রাখলাম চিকিৎসা দিলাম সব ঠিক অাছে তবে এর চিরস্থায়ী সমাধান কোথায়????
এদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কক্সবাজারবাসী বা বাংলাদেশ সরকার কেন বহন করবে?
অামরা কক্সবাজারবাসী তো কোন অপরাধ করি নি।
রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছি খায়েছি তাই বলে নিজেদের থাকার জায়গা তাদের ছেড়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সেই পক্ষে একমত নয়।
যারা বিদেশী এন জিও সংস্থা এবং তুরস্ক, মালেশিয়া পাকিস্তান, ভারত সহ অন্যান্য দেশী অাপনারা এতো মায়া কান্নাকাটি না দেখিয়ে অার ১/২ কেজি চিড়া মুড়ি না দিয়ে এখানে বর্তমানে যে সংখ্যক রোহিঙ্গা অাছে তা অাপনারা স্হায়ী ভাবে অাপনাদের দেশে নিয়ে গেলে তো পারেন।কই সৎ সাহস থাকলে সত্যিকার ভালবাসা বা দরদ থাকলে রোহিঙ্গাদের প্রতি তবে তাদেরকে ২/৩ হাজার করে করে অাপনাদের দেশে ওদেরকে নিয়ে যান তো?
বর্তমানে ৩ লক্ষ এর বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে এদের দেখভাল করার দায় দায়িত্ব কি অামাদের?
অামাদের বাংলাদেশের শ্রমিকদের তো অাপনারা সৌদিআরব, দুবাই, মালয়েশিয়া,চিন,ইন্দোনেশিয়া,তুরস্ক সহ অন্যান্য দেশে এখানে এতো অাদর যত্ন করেন না বরং রোহিঙ্গাদের সেখানেও মাথায় তুলে রাখেন এবং অামাদের শ্রমিকদের যত অত্যাচার নির্যাতন করেন তা অামরা ভাল জানি।
অামরা কক্সবাজার জেলাবাসী কিভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে সহানুভূতি ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছি তা অাপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না এবং উখিয়া কুতুপালং নির্দিষ্ট ভাবে কার্ড ধারী ৩০ হাজার রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে অামরা লালনপালন করে অাসছি তার জন্য কিন্তু প্রিয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা এওয়ার্ড পায় নি পেয়েছে অং সাং সূচি।
তবে অামার প্রশ্ন অামার দেশে উত্তরবঙ্গে ১৯ টিরও বেশি জেলায় যেভাবে সাধারন মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে এবং অনেকদিন চুলায় অাগুন জ্বালাতে পারে নি মানুষ খেতে পারি নি কই সেই সময় তো অাপনাদেরকে চোখের পানি ঝড়াতে দেখি নি কই সেই সময় তো তাদের পাশে দাড়াতে দেখি নি তবে রোহিঙ্গা সমস্যা বললে ভালবাসা বেড়ে যায়।
এখন কক্সবাজার শহরে বর্তমানে অলি গলিতে রোহিঙ্গা সব।রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার অতীত রেকর্ড পর্যালোচনা করলে প্রিয় বেদেশী বন্ধুরা জানতে পারবেন।
এখন পর্যটন মৌসুম যদি তাদের উপরে এসে কোন প্রভাব পড়ে কক্সবাজার তবে এর দায়ভার কে নিবে?কক্সবাজার যদি অচিরেই চুরি ডাকাতি বেড়ে যায় বা অাইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয় এর দায়ভার কে নিবে?
রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে গিয়ে স্হানীয়দের সাথে কোন বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তবে তার দায়ভার কে নিবে?
কক্সবাজার যারা সংখ্যা লঘু তাদের সাথে যদি কোন ইসলামি জঙ্গিবাদী সংঘটন উস্কানি দিয়ে সাময়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে মুসলিমদের সাথে তবে তার দায়ভার কে নিবে?
মাননীয় নেত্রী এখানে মনে হয় গভীর ভাবে অান্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তাই পরিশেষে অাপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি কক্সবাজার জেলাকে অাপনি বাচান।অাপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সুন্দর ও সঠিক সিদ্ধন্ত অামরা অাশা করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।